মূলধনজাতীয় ও মুনাফাজাতীয় আয়-ব্যয় ও প্রাপ্তির কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
মূলধনজাতীয় আয়
1. সম্পদ বিক্রয়: একটি কোম্পানি তার পুরনো যন্ত্রপাতি বিক্রি করে যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ।
2. ভূমি বিক্রয়: কোনো ব্যবসা জমি বা ভবন বিক্রি করে যে আয় অর্জন করে।
3. ঋণ প্রাপ্তি: ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণ, যা ব্যবসার পুঁজিতে যুক্ত হয়।
4. সরকারি অনুদান: একটি প্রকল্পের জন্য সরকার থেকে প্রাপ্ত অনুদান।
মুনাফাজাতীয় আয়
1. বিক্রয় আয়: পণ্য বা সেবার বিক্রি থেকে অর্জিত আয়।
2. ভাড়া আয়: যেকোনো সম্পত্তি, যেমন অফিস বা ভবনের ভাড়া থেকে প্রাপ্ত অর্থ।
3. পরিষেবা প্রদান: পরামর্শক সেবা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি থেকে অর্জিত আয়।
4. লভ্যাংশ: একটি কোম্পানির শেয়ারধারকদের জন্য প্রদত্ত লভ্যাংশ।
মূলধনজাতীয় ব্যয়
1. যন্ত্রপাতি ক্রয়: নতুন যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তির জন্য ব্যয়।
2. অবকাঠামো উন্নয়ন: নতুন ভবন নির্মাণ বা জমি উন্নয়নের জন্য ব্যয়।
3. ঋণ পরিশোধ: মূলধন বা দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিশোধ।
4. গবেষণা ও উন্নয়ন: নতুন পণ্য বা সেবার উন্নয়নে ব্যয়।
মুনাফাজাতীয় ব্যয়
1. দৈনন্দিন খরচ: কর্মচারীদের বেতন, অফিস খরচ ইত্যাদি।
2. বিপণন ব্যয়: পণ্যের প্রচার ও বিপণনের জন্য খরচ।
3. সরবরাহকারী খরচ: পণ্যের জন্য কাঁচামাল ক্রয়ের ব্যয়।
4. সেবা প্রদান ব্যয়: পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির জন্য খরচ।
মূলধনজাতীয় প্রাপ্তি
1. ধার গ্রহণ: ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করা ঋণ।
2. ফান্ড সংগ্রহ: কোনো প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ।
3. সরকারি অনুদান: নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সরকারী সাহায্য।
মুনাফাজাতীয় প্রাপ্তি
1. বিক্রয় থেকে প্রাপ্তি: পণ্য বা সেবা বিক্রির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ।
2. ব্র্যান্ড লাইসেন্সিং: অন্য কোম্পানির জন্য ব্র্যান্ড ব্যবহার করার জন্য প্রাপ্ত অর্থ।
3. কমিশন: পণ্য বা পরিষেবা বিক্রির জন্য কমিশন থেকে অর্জিত আয়।
এই উদাহরণগুলো মূলধনজাতীয় ও মুনাফাজাতীয় আয়-ব্যয় এবং প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্য বোঝার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
0 Comments