Recent Posts

কর ছাড়ের জন্য শর্ত?

 


বাংলাদেশে কর ছাড় পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত এবং নীতিমালা রয়েছে, যা উদ্যোক্তাদের এবং ব্যবসায়ীদের পূরণ করতে হয়। নিম্নলিখিত শর্তগুলো সাধারণত প্রযোজ্য:


১. নতুন প্রতিষ্ঠান

- নিবন্ধন: কর ছাড় পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারী কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধিত হতে হবে।

- শুরুর সময়সীমা: নতুন প্রতিষ্ঠানগুলিকে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের (যেমন ৩-৫ বছর) মধ্যে কর ছাড় দেওয়া হয়।


২. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (SEZ)

- SEZ এ অবস্থান: কোম্পানিগুলি যদি SEZ তে অবস্থিত হয় তবে তারা নির্দিষ্ট সময়কাল (যেমন ৫ বছর) জন্য কর ছাড় পেতে পারে।

- নিয়ম মেনে চলা: SEZ এর জন্য নির্ধারিত সমস্ত নিয়ম এবং শর্ত মেনে চলা আবশ্যক।


৩. ক্ষেত্রভেদে সুবিধা

- কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ: কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের জন্য নির্দিষ্ট শর্তে কর ছাড় দেওয়া হয়।

- তথ্য প্রযুক্তি খাত: তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়, যেমন কর ছাড়।


৪. সঠিক কর পরিসেবা

- সঠিক হিসাব-নিকাশ: প্রতিষ্ঠানটির সঠিক হিসাব-নিকাশ এবং প্রতিবেদন প্রদান করা প্রয়োজন।

- অন্যান্য শর্ত: কর পরিসেবা এবং প্রতিবেদন দেয়ার সময় সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করতে হবে।


৫. স্থানীয় ও জাতীয় আইন

- নিয়মাবলী মেনে চলা: স্থানীয় এবং জাতীয় আইন ও বিধিমালা মেনে চলতে হবে।

- প্রয়োজনীয় লাইসেন্স: কোম্পানির কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত লাইসেন্স ও অনুমোদন থাকতে হবে।


৬. অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্য

- অর্থনৈতিক উন্নয়ন: সরকার বিশেষ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য কর ছাড়ের সুবিধা প্রদান করে, তবে কোম্পানির দিক থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করা আবশ্যক।


৭. বৈদেশিক বিনিয়োগ

- বিদেশী বিনিয়োগকারীরা: বিদেশী বিনিয়োগকারীরা যদি সরকারী নীতিমালার শর্তাবলী পূরণ করেন তবে তারা কর ছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন।


উপসংহার

কর ছাড়ের জন্য এই শর্তগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্যোক্তাদের উচিত স্থানীয় ও জাতীয় সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং বর্তমান কর নীতিমালা সম্পর্কে সচেতন থাকা। সঠিকভাবে এই শর্তগুলো পূরণ করলে কর ছাড়ের সুবিধা লাভ করা সম্ভব।

Post a Comment

0 Comments