বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা (BSCIC) বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান। এর মূল লক্ষ্যগুলো নিম্নরূপ:
১. ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন:
- দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা, যাতে এসব শিল্প দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
২. উদ্যোক্তা উন্নয়ন:
- নতুন উদ্যোক্তাদের সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা, যাতে তারা সহজে ব্যবসা শুরু করতে পারে।
৩. বাজার প্রবেশ ও বিপণন সহায়তা:
- ক্ষুদ্র শিল্পের পণ্য ও সেবার জন্য বাজারের চাহিদা বিশ্লেষণ ও বিপণন কৌশল তৈরি করা, যাতে উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারে।
৪. অর্থায়ন সুবিধা প্রদান:
- ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য স্বল্প সুদের ঋণ ও অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি করা, যা ব্যবসার উন্নয়নে সহায়ক।
৫. প্রযুক্তির স্থানান্তর:
- আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা।
৬. শিল্প অবকাঠামো উন্নয়ন:
- শিল্প পার্ক ও শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠা করে উদ্যোক্তাদের জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো ও পরিবেশ তৈরি করা।
৭. আইনগত ও নীতিগত সহায়তা:
- উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসায়িক নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং সরকারি নীতিমালার আওতায় সহায়তা প্রদান।
৮. সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন:
- ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা, যা দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
৯. গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D):
- ক্ষুদ্র শিল্পে গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা করা, যাতে নতুন প্রযুক্তি ও পণ্য উদ্ভাবন হয়।
১০. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:
- শিল্প কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা, যা উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
সমাপনী মন্তব্য:
BSCIC এর এই মূল লক্ষ্যগুলো ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নকে সহায়তা করে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংস্থাটি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা ও সহায়তা প্রদান করে, যা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সমৃদ্ধি আনতে সাহায্য করে।
0 Comments