এসএমই (ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ) ঋণের জন্য আবেদন করার সময় কিছু নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা থাকে যা উদ্যোক্তাদের পূরণ করতে হয়। বাংলাদেশে এসএমই ঋণের প্রয়োজনীয়তা সাধারণত নিচে উল্লেখ করা হয়েছে:
১. ব্যবসার নিবন্ধন
- নিবন্ধন সনদ: উদ্যোক্তাকে অবশ্যই তার ব্যবসার নিবন্ধন সনদ (যেমন, এনসিআরসির নিবন্ধন) থাকতে হবে।
২. ট্যাক্স পরিচয় পত্র (TIN)
- টিআইএন কার্ড: ব্যবসার জন্য ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN) থাকতে হবে, যা রাজস্ব বিভাগ থেকে প্রাপ্ত হয়।
৩. ব্যবসার পরিকল্পনা
- বিস্তারিত পরিকল্পনা: ঋণের উদ্দেশ্য, বাজেট, বাজার বিশ্লেষণ, এবং ব্যবসার কৌশল সম্পর্কিত একটি পরিষ্কার এবং বিস্তারিত ব্যবসার পরিকল্পনা প্রদান করতে হবে।
৪. অর্থনৈতিক নথিপত্র
- পূর্ববর্তী আর্থিক প্রতিবেদন: যদি ব্যবসা পূর্বে চালানো হয়ে থাকে তবে তার আর্থিক প্রতিবেদন (ব্যালেন্স শিট, লাভ-ক্ষতির হিসাব) জমা দিতে হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট: প্রয়োজনে শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হতে পারে।
৫. সম্পত্তির দলিল
- সম্পত্তির মালিকানা: যদি ঋণ সম্পত্তি বা অন্যান্য মূলধন ক্রয়ের জন্য হয়, তবে সম্পত্তির দলিল এবং প্রমাণাদি থাকতে হবে।
৬. অংশীদার বা মালিকের পরিচয় পত্র
- পরিচয়পত্র: উদ্যোক্তা বা অংশীদারদের জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্টের কপি জমা দিতে হবে।
৭. ক্রেডিট স্কোর
- ক্রেডিট ইতিহাস: ব্যাংক উদ্যোক্তার ক্রেডিট স্কোর এবং পূর্ববর্তী ঋণের ইতিহাস যাচাই করবে। ভালো ক্রেডিট স্কোর থাকা উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৮. ঋণের পরিমাণ ও সময়কাল
- ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ: প্রয়োজনীয় ঋণের পরিমাণ এবং পরিশোধের সময়কাল নির্ধারণ করে তা ব্যাংকে জানাতে হবে।
৯. সাক্ষাৎকার
- ব্যাংক সাক্ষাৎকার: অনেক ব্যাংক ঋণের আবেদনকারীকে একটি সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকতে পারে, যেখানে তারা ব্যবসার পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করবে।
১০. বিশেষ শর্তাবলী
- ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের শর্ত: প্রতিটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কিছু শর্তাবলী থাকতে পারে, যা পূরণ করতে হবে।
উপসংহার
এসএমই ঋণের জন্য আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয়তাগুলি সঠিকভাবে পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। উদ্যোক্তাদের উচিত নির্ধারিত নথিপত্র এবং তথ্য নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া, যাতে তারা ঋণের জন্য সফলভাবে আবেদন করতে পারে। অধিকাংশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এসব তথ্য পাওয়া যায়, যা সাহায্য করতে পারে।
0 Comments