Recent Posts

মুদ্রাস্ফীতি কত হওয়া উচিত?

 


মুদ্রাস্ফীতির "স্বাস্থ্যকর" স্তর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও লক্ষ্য অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সাধারণভাবে নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো উল্লেখযোগ্য:


১. স্বাস্থ্যকর স্তর:

- ২-৩%: অনেক অর্থনীতিবিদ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতির স্বাস্থ্যকর স্তর হিসেবে ২% থেকে ৩% পরিসীমাকে বিবেচনা করে। এই স্তরটি সাধারণভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং মূল্য স্থিতিশীলতার মধ্যে সঠিক সমন্বয় বজায় রাখতে সহায়ক।


২. দূরদর্শী নীতি:

- প্রবৃদ্ধি ও চাকরি: এই স্তরটি ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগ এবং ব্যয়ের উৎসাহ দেয়, যা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য সহায়ক।

- ডিফ্লেশন প্রতিরোধ: সামান্য পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতি ডিফ্লেশন থেকে রক্ষা করে, যা অর্থনৈতিক সংকটের সময় দেখা দিতে পারে।


৩. বিশ্বব্যাপী মানদণ্ড:

- বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

  - ফেডারেল রিজার্ভ (যুক্তরাষ্ট্র): সাধারণভাবে ২% মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ধরা হয়।

  - ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক: তাদের লক্ষ্যও ২% মুদ্রাস্ফীতি।

  - বাংলাদেশ: বাংলাদেশ ব্যাংক ৫% এর কাছাকাছি একটি লক্ষ্য রাখে, তবে এটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।


৪. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা:

- লক্ষ্য হল মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা এমন হতে হবে যে তা অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়। অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি বা অত্যাধিক ডিফ্লেশন উভয়ই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


৫. মুদ্রাস্ফীতির কারণ:

- মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতির কারণ এবং বাজারের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।


উপসংহার:

মুদ্রাস্ফীতির একটি স্বাস্থ্যকর স্তর সাধারণত ২% থেকে ৩% পরিসীমায় রাখা হয়, তবে এটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, চাকরি সৃষ্টি এবং বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক।

Post a Comment

0 Comments