ব্যবসায়ের প্রকারভেদ বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। এখানে কিছু প্রধান শ্রেণীবিভাগ উল্লেখ করা হলো:
১. মালিকানা অনুসারে:
- একক মালিকানা (Sole Proprietorship): একজন ব্যক্তি পুরো ব্যবসার মালিক এবং সমস্ত লাভ এবং ক্ষতির দায়ভার গ্রহণ করেন।
- সহযোগী ব্যবসা (Partnership): দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একসাথে ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি করেন।
- কর্পোরেশন (Corporation): একটি আলাদা আইনগত সত্তা, যেখানে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে মালিকানা বিতরিত থাকে।
২. কার্যক্রমের ভিত্তিতে:
- উৎপাদন ব্যবসা (Manufacturing Business): পণ্য উৎপাদন করে, যেমন শিল্প কারখানা।
- বিপণন ব্যবসা (Retail Business): পণ্য সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে, যেমন দোকান বা সুপার মার্কেট।
- সেবা প্রদানকারী ব্যবসা (Service Business): সেবা প্রদান করে, যেমন হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরামর্শ সেবা।
৩. বাজারের ভিত্তিতে:
- স্থানীয় ব্যবসা (Local Business): স্থানীয় বাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- জাতীয় ব্যবসা (National Business): দেশের মধ্যে বিস্তৃত ব্যবসা।
- আন্তর্জাতিক ব্যবসা (International Business): একাধিক দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
৪. আকার অনুসারে:
- ছোট ব্যবসা (Small Business): সাধারণত সীমিত কর্মী এবং আয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
- মাঝারি ব্যবসা (Medium Business): ছোট ও বড় ব্যবসার মধ্যবর্তী।
- বড় ব্যবসা (Large Business): বৃহৎ পরিসরে পরিচালিত হয়, যেমন বড় কর্পোরেশন।
৫. শিল্পের ভিত্তিতে:
- প্রযুক্তি (Technology): সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, ইত্যাদি।
- ফাইন্যান্স (Finance): ব্যাংক, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান।
- ফুড অ্যান্ড হসপিটালিটি (Food and Hospitality): রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ক্যাটারিং।
৬. ব্যবসার প্রকৃতি অনুযায়ী:
- বাণিজ্যিক ব্যবসা (Commercial Business): লাভের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।
- সামাজিক ব্যবসা (Social Business): সামাজিক সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।
এই শ্রেণীবিভাগগুলি ব্যবসার গঠন, কার্যক্রম এবং পরিচালনার উপায়ে ভিন্নতা নির্দেশ করে।
0 Comments