Recent Posts

কর ছাড়ের শর্তগুলো কী?

 


বাংলাদেশে কর ছাড় পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে, যা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মেনে চলতে হয়। এই শর্তগুলি নির্ভর করে ব্যবসার ধরণ, স্থল, এবং শিল্প খাতের ওপর। নিচে কর ছাড়ের কিছু সাধারণ শর্ত আলোচনা করা হলো:


১. নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য শর্ত

- নতুন উদ্যোক্তা: নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য কর ছাড় সাধারণত দেওয়া হয়। সাধারণত, একটি নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে এটি কর ছাড়ের জন্য যোগ্য হতে পারে।

- সাক্ষরীকৃত এবং নিবন্ধিত: প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিবন্ধিত এবং আইনি দিক থেকে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।


২. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (SEZ)

- SEZ এ প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি: SEZ এ নতুন শিল্প স্থাপন করলে কোম্পানিগুলি সাধারণত ৫ বছর পর্যন্ত কর ছাড় পায়।

- নিয়মাবলী মেনে চলা: SEZ এ বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নিয়ম ও শর্ত পালন করতে হবে।


৩. ক্ষেত্রভেদে প্রণোদনা

- কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ: কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে বিনিয়োগের জন্য কর ছাড় পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় শর্তগুলি পূরণ করতে হবে।

- তথ্য প্রযুক্তি খাত: তথ্য প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা, যেমন কর ছাড়, দেওয়া হয়।


৪. ক্ষেত্রভেদে সুনির্দিষ্ট শর্ত

- বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাত: বিদ্যুৎ এবং গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি যদি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে তবে তারা কর ছাড় পেতে পারে।

- পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগ: পরিবেশ রক্ষা এবং স্থায়িত্ব সংক্রান্ত উদ্যোগের জন্য সরকার কর ছাড়ের প্রস্তাব দিতে পারে।


৫. আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শর্ত

- লাইসেন্স ও নিবন্ধন: ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং নিবন্ধন থাকা আবশ্যক।

- নির্ধারিত শর্ত পূরণ: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সরকার দ্বারা নির্ধারিত শর্ত ও বিধিমালা পূরণ করতে হয়।


৬. অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য

- অর্থনৈতিক উন্নয়ন: সরকার নির্দিষ্ট শিল্প বা সেক্টরে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য কর ছাড় দেয়, তবে প্রতিষ্ঠানটি যাতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।


উপসংহার

বাংলাদেশে কর ছাড় পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের উপরোক্ত শর্তগুলি মেনে চলতে হবে। সঠিকভাবে এই শর্তগুলি পূরণ করা হলে উদ্যোক্তারা কর ছাড়ের সুবিধা নিতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও, স্থানীয় ও জাতীয় সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা জরুরি, কারণ প্রয়োজনীয়তা এবং শর্তাবলী সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে।

Post a Comment

0 Comments